নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামে খালের ওপর বিএডিসির ব্রিজটি দেড় যুগ আগে নির্মাণ করা হলেও তার কোনো সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ব্রিজটিতে উঠতে হলে নৌকায় করে খাল পাড়ি দিতে হয়।
বিএনপি-জামাত সরকার আমলে নির্মিত ব্রিজটি মূলত খাল পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হলেও এটি করা হয় খালের মধ্যে। যেটি এখনও কারো উপকারে আসছে না। বন্যা তো দুরের কথা, সামান্য বর্ষা এলেই পানিতে ব্রিজের চারপাশ কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে। ফলে কেউ ব্রিজ পারাপার হতে চাইলে নৌকা ছাড়া কোনো গতি থাকে না।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সরজমিনে দেখা যায়, বাস্তা ইউনিয়নের কেরানীগঞ্জ-রাজাবাড়ি-আব্দুল্লাহপুর রোডের পাশে বোয়ালী গ্রামে খালের ওপর বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ভেপলভমেন্ট করোপেরশনের (বিএডিসির) অর্থয়ানে নির্মাণ করা ব্রিজটি পানিবন্দি হয়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকদের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হলেও এটি কোনো উপকারে আসেনি।
খালের পশ্চিম পাশে একটি শশ্নান, কয়েকটি বাড়ি, ফসলি মাঠ থাকলেও সেখানের বাসিন্দারা এখনও নৌকাতে করেই পারাপার হন। ব্রিজটির বয়স দেড় যুগ পার হলেও নিমার্ণ করা হয়নি এ্যাপ্রোচ সড়ক। ফলে ছোটখাটো বর্ষাতেও চার থেকে পাঁচ মাস ব্রিজটি পানির নিচে ডুবে থাকে। আর বাকি সময়ে একপাশ থেকে নৌকায় করে গিয়ে ব্রিজে উঠতে হয়। অপর পাশে হাটু পানিতে নেমে তারপর রাস্তায় যেতে হয়। অনেক সময় দুই পাশেই নৌকা দিয়ে যাতায়াত করা লাগে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
বোয়ালী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ ঘোষ বলেন, গ্রামটি জুড়ে বেশিরভাগ হিন্দু পরিবারের বসতি। ব্রিজের পশ্চিম পাশে শশ্নান ও মন্দির রয়েছে। সেখানে যেতে হলে নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। বর্ষার সময় পানি বাড়লে ব্রিজটি তলিয়ে যায়। বছরে ছয় থেকে সাত মাস ব্রিজটি পানিতেই ডুবে থাকে। এতে করে ব্রিজটি উপকারের পবিবর্তে অপকার করে আসছে।
বাস্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জেড এ জিন্নাহ বলেন, বোয়ালীগ্রামসহ আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মরদেহ শশ্নানে নেওয়া, কৃষক ও এলাকাবাসীর যাতেয়াতের সুবিধার জন্য অনেক কষ্ট করে ব্রিজটির বরাদ্দ করাই। কিন্তু তার কোনো সুবিধাই হলো না। ব্রিজটির দুই পাশে মাটি ভরাট করলে শুকনো মৌসুমে চলাচলের সুবিধা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল আমিন বলেন, বিএডিসির কোনো কার্যক্রম এ মুহুর্তে কেরানীগঞ্জে আছে কিনা আমার জানা নেই। ব্রিজটি আমি দেখেছি। এটি আসলে কোনো উপকারেই আসছে না।